#নয়াদিল্লি: স্থগিতাদেশ দিয়েছিল দেশের সর্বোচ্চ আদালত সুপ্রিম কোর্ট। কিন্তু সেই স্থগিতাদেশের পরও বেশ কয়েক ঘণ্টা ধরে উচ্ছেদ অভিযান জারি থাকে দিল্লির জাহাঙ্গীরপুরীতে। দেশের রাজধানীতে সুপ্রিম কোর্ট এই উচ্ছেদ অভিযান বন্ধের নির্দেশ দিলেও দুপুর একটা পর্যন্ত উত্তর দিল্লি পুরনিগমের বুলডোজার দোকান-পাট, বাড়ি ভাঙতে থাকে। এরপরই সেখানে পৌঁছন বাম নেত্রী বৃন্দা কারাত। শুধু পৌঁছলেনই না, দিল্লির উত্তপ্ত এলাকা জাহাঙ্গীরপুরীতে বুলডোজারের সামনে দাঁড়িয়ে অবৈধ নির্মাণ ভাঙার কাজ বন্ধও করে দিলেন সিপিএম নেত্রী।
প্রসঙ্গত, সরকারি নির্দেশে বেআইনি নির্মাণ ভাঙা শুরু হয়েছিল দিল্লির জাহাঙ্গীরপুরী এলাকা। কিন্তু শেষ মুহূর্তে সুপ্রিম কোর্টের আদেশ নিয়ে হাজির হয়ে তা আটকে দিলেন কমিউনিস্ট নেত্রী। যদিও প্রথম দিকে উত্তর দিল্লি মিউনিপ্যাল কর্পোরেশন অবৈধ নির্মাণ ভাঙা বন্ধ করতে চায়নি। প্রায় ২ ঘণ্টা ধরে চরম উত্তেজনার পর বুলডোজার চালানো বন্ধ করে প্রশাসন। সেই সময় ওই এলাকায় উত্তেজনা তৈরি হলেও বৃন্দা কারাত স্থানীয়দের শান্ত থাকার অনুরোধ করেন।
প্রসঙ্গত, গত শনিবার সাম্প্রদায়িক হিংসার কারণে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল দিল্লির জাহাঙ্গীরপুরী এলাকা। পাথর ছোঁড়ায় পাশাপাশি গুলিও চলেছিল সংঘর্ষের সময়। খোলা তরোয়াল হাতে নিয়েও ঘুরতে দেখা যায় অনেককে। এই ঘটনায় পুলিশকর্মী সহ বেশ কয়েক জন আহতও হয়েছিলেন। সেই সময়ই দিল্লির বিজেপি সভাপতি আদেশ গুপ্তা হুমকি দিয়ে বলেছিলেন, ওই এলাকায় সমস্ত বেআইনি নির্মাণ ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হবে। এরপরই অবৈধ নির্মাণ ভাঙার সিদ্ধান্ত নেয় উত্তর দিল্লি মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশন।
আরও পড়ুন: উডবার্ন থেকে বেরোলেন অনুব্রত মণ্ডল! তাহলে কি ছুটি? শেষমেশ যা জানা গেল…
বুধবার সকাল ১০টা নাগাদ ঘটনাস্থলে পৌঁছে যায় ৯টি বুলডোজার। এরপরই নতুন করে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে জাহাঙ্গীপুরী এলাকা। যদিও নির্মাণ ভাঙার সময়ই ওই এলাকায় মোতায়েন করা হয় ৪০০ পুলিশকর্মী। যদিও উত্তর দিল্লি মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশনের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আগেই সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন স্থানীয় বাসিন্দারা। তাঁদের হয়ে লড়ছিলেন কংগ্রেস নেতা তথা প্রবীণ আইনজীবী কপিল সিব্বল। স্থানীয় বাসিন্দাদের পাশে থাকার বার্তা আগেই দিয়েছিলেন সিপিএম নেত্রী বৃদ্ধা কারাত।
আরও পড়ুন: বুধ বিকেলে বাগানে ঝড়! সবুজ-মেরুনে হট্টমেলা, প্রকাশ্যেই বিতণ্ডায় ক্লাবের দুই শীর্ষকর্তা
আবেদনকারীদের তরফে সুপ্রিম কোর্টে বলা হয়, প্রশাসনের পক্ষ থেকে অবৈধ নির্মাণ ভাঙা হবে বলে কোনও নোটিশ দেওয়া হয়নি বা আগে থেকেই সতর্কও করা হয়নি। এই আবেদনের পরই সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি এনভি রামানার বেঞ্চ আপাতত অবৈধ নির্মাণ ভাঙার উপর স্থগিতাদেশ জারি করে। এই মামলার পরবর্তী শুনানি আগামিকাল। যদিও সেই স্থগিতাদেশের নির্দেশ আসার পরই সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ হাতে নিয়ে উচ্ছেদ অভিযান বন্ধ করতে বাধ্য করেন বৃন্দা কারাত।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Brinda Karat, Delhi, Supreme Court