#কলকাতা: গরমের ছুটি হোক বা পুজোর ছুটি। স্কুল বন্ধ হলেই নাতি আসে বাড়িতে। চলতি সপ্তাহেই দাদু দিদার কাছে আসার কথা ছিল বছর চারের ইভানের। গরমের ছুটি পড়েছে, ইভানকে নিয়ে দাদুর বাড়িতে আসার প্রস্তুতিও সাড়া। কিন্তু বাধ সাধল বিপর্যয়।
গত বুধবার বিকেলের পর থেকে মেট্রোর কাজের জেরে বউবাজারের দুর্গা পিতুরি লেনের বাড়িগুলিতে দেখা গেল ফাটল। তড়িঘড়ি অন্যত্র সরানো হল বাসিন্দাদের। এই বিপর্যয়ের জন্য মামাবাড়িতে আসা হল না ছোট্ট ইভানের। মন খারাপ ৯৪, বিবি গাঙ্গুলি স্ট্রিটের বাসিন্দা চন্দ্রশেখর চক্রবর্তী ও তাঁর স্ত্রী রীণা চক্রবর্তীর। বার বার ফোন করে জেদ করছে ছোট্ট নাতি। বাড়ি ছাড়তে না হলেও ফাটল বিপর্যয়ে আতঙ্কিত দাদু দিদা দূরে থেকেই ফোনে কথা সারছেন নাতির সঙ্গে।
কারণ ২০১৯, ২০২০-তে বাড়ি ছেড়ে হোটেলে উঠেছিলেন তাঁরা। তবে এবার বাড়ি ছাড়তে না হলেও রয়েছেন অনিশ্চয়তার মধ্যে। কারণ তাঁদের বাড়িতেও ফাটল দেখা গিয়েছে। বড় রকম কোনও বিপত্তি ঘটলে হয় তো এবারও বেরিয়ে পড়তে হবে ঘর ছেড়ে। তাই বাধ্য হয়েই নাতিকে আসতে বারণ করে দিয়েছেন বৃদ্ধ দম্পতি।
আরও পড়ুন: সাতটি সোনার বার এল বাংলাদেশ থেকে! সেন্ট্রাল এভিনিউতে বড় সাফল্য শুল্ক দফতরের
শনিবার বিকেলে এলাকায় আসেন বিধায়ক নয়না বন্দ্যোপাধ্যায়। কথা বলেন স্থানীয়দের সঙ্গে। সেই সময় নিজেদের নানা কথা বলার সময় নাতি না আসার অভিমানের কথা বলে ফেলেন ইভানের দিদা রীণা চক্রবর্তী। একইসঙ্গে তাঁর ঘরের ফাটলের বর্ণনা তুলে ধরেন বিধায়কের কাছে। অভিযোগও করেন কেএমআরসিএলের নামে। বিধায়ক সব শুনে তাঁদের আশ্বস্ত করেছেন।
রীণাদেবী শুধু নন। দুর্গা পিতুরি লেনের অনেক বাসিন্দাই শনিবার বিধায়কের সঙ্গে কথা বলেন। জানান তাঁদের নানা সমস্যার কথা। আলোচলায় বেশ কিছু বাড়ির মালিক- ভাড়াটিয়ার সমস্যার কথাও উঠে আসে। একাংশের বক্তব্য, এই এলাকাতে অনেক বাড়িতেই শরিকের অংশ। কিন্তু এই বিপর্যয়ে বাড়ি ধরে গণনা হয়েছে। কিন্তু একটি বাড়িতে দু’টি তিনটি বা তার বেশি পরিবার থাকে। এতে অনেকেই ক্ষতিপূরণ থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।
বিধায়ক নয়না বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘এই বিষয়ে কেএমআরসিএলের সঙ্গে কথা বলে সমস্যার সমাধান করা হবে।’
Amit Sarkar
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: East-West Metro