#কলকাতা: এত দিন মাইক ছিল না পুরসভার অধিবেশন কক্ষে। বসার আসনে থাকত না মাইক্রোফোন। এ বার লোকসভা বা বিধানসভা অধিবেশন কক্ষের আদলে বদলাচ্ছে পুরসভার অধিবেশন কক্ষ। জনপ্রতিনিধিদের প্রতিটি আসনেই বসবে মাইক্রোফোন। এ বার সহজে নিজের বক্তব্য পৌঁছানো যাবে সবার কাছে। চেঁচিয়ে হই-হট্টগোল-এ অধিবেশনের অনেক কথাই ধামাচাপা পড়ে যায়। মুল ইস্যু হারিয়ে চেঁচামেচিতে সময় নষ্ট হয়। এ বার সাউন্ড সিস্টেমে জনপ্রতিনিধিদের কথা শুনবে অধিবেশন।
চিরাচরিত ঐতিহ্যের বদল হচ্ছে কলকাতা পুরসভার অধিবেশন কক্ষে। কাউন্সিলর থেকে মেয়র, মেয়র পরিষদের বসার টেবিলেই থাকবে মাইক্রোফোন। বক্তব্য রাখতে চেয়ার ছেড়ে উঠে যেতে হবে না পোডিয়ামে। এত দিন মেয়র, মেয়র পারিষদ কিংবা কাউন্সিলর, কারও আসনেই ছিল না মাইক্রোফোন। চেয়ারপার্সন মালা রায়ের আসনে ও সামনে দু-পাশে পোডিয়ামের দু-দিকে রাখা থাকত মাইক্রোফোন। ফলে শাসকদল বা বিরোধী দলের যে কোনও কাউন্সিলর বা মেয়র, মেয়র পারিষদ প্রত্যেককে উঠে এসে বলতে হত।
আরও পড়ুন: পাশের দাবিতে আন্দোলন করেও লাভ হয়নি, আত্মহত্যা উচ্চ মাধ্যমিক ছাত্রীর!
দীর্ঘদিন পর সেই ঐতিহ্যে এ বার ছেদ পড়তে চলেছে। জনপ্রতিনিধিদের আসন ছেড়ে পোডিয়ামে উঠে এসে বারবার বলার সেই সমস্যা সমাধানে এ বার বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছেন খোদ চেয়ারপার্সন মালা রায়। চিন্তাভাবনা চলছে প্রতিটি আসনেই লোকসভা কিংবা বিধানসভার ধাঁচে মাইক্রোফন বসানো হবে। মালা রায় নিজেও একজন সাংসদ। সেই অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগাতে চাইছেন পুর অধিবেশনের কক্ষে। যাতে উঠে এসে নয়, নিজের আসনে বসেই অধিবেশনে বক্তব্য রাখতে পারেন জনপ্রতিনিধিরা।
অধিবেশন চলাকালীন প্রশ্ন বা উত্তর দিতে এবং প্রস্তাবের পক্ষে বা বিপক্ষে পোডিয়ামে উঠে আলোচনায় অংশ নিতে হত। সেই সমস্যার সমাধানে এ বার মাইক্রোফোন বসানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। আলোক বিভাগের আধিকারিকরা অধিবেশন কক্ষ পরিদর্শন করে গেছে। পৌর অধিবেশনের বসার জায়গা বা বলার জায়গা সবটাই ব্রিটিশ আমলে। তার অদলবদল হয়নি। বারবার জনপ্রতিনিধিদের নিজের আসন থেকে উঠে এসে বক্তব্য রাখা সময় সাপেক্ষ এবং অসুবিধাজনক। লোকসভা বা বিধানসভায় টেবিলেই মাইক্রোফোন থাকে তাই, অধিবেশন কক্ষে কাজের সুবিধা হয় এবং সময়ও বাঁচে অনেকটাই।
আরও পড়ুন: সঙ্গী অসুস্থ, চরম অর্থাভাব, পুলিশকে ইমেল করে আত্মহত্যা কলকাতার যুগলের!
পুরসভা সূত্রে খবর, তার যুক্ত নাকি তার-বিহীন কোন ধরনের মাইক্রোফোন ব্য়বহার করা হবে, তা নিয়ে আলোচনা চলছে। কর্ডলেস ব্যবস্থার ক্ষেত্রে খরচ বেশি। প্রায় পৌনে ২ কোটি টাকা খরচ হতে পারে। কর্ড মাইক্রোফোন বসাতে খরচ অনেকটাই কম। ৮০ লক্ষ টাকার মতো খরচ হবে। অর্থাৎ কর্ডলেস মাইক্রোফোন-এর ক্ষেত্রে দ্বিগুণের বেশি অর্থ খরচ হবে। তবে-এই কাজের জন্য পুরসভা অর্থ খরচ করবে না। সম্ভবত সাংসদ কোটার টাকায় এই কাজ হবে।
বিশ্বজিৎ সাহা
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: KMC