গত সপ্তাহে অ্যামাজনের সিইও নিশ্চিত করেছিলেন 18 জানুয়ারির পর থেকেই যে সকল কর্মীদের উপর প্রভাব পড়তে চলেছে তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হবে। এদিকে, অ্যামাজনের যে সকল কর্মী চাকরি হারিয়েছেন তাদের অনেকেই LinkedIn এবং Twitter-এর মতো সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজের বরখাস্ত হওয়ার বিষয়ে এবং তাঁরা যে নতুন সুযোগ পাওয়ার জন্য প্রস্তুত সেবিষয়ে জানিয়েছেন।
অ্যামাজন যে সকল কর্মীদের ছাঁটাই করছে তাদের ইমেলের মাধ্যমে সেবিষয়ে জানিয়েছে। ইমেলে কর্মীদের একটি নির্দিষ্ট তারিখে উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে দেখা করে পরিস্থিতির বিষয়ে জানতে বলা হয়েছে। শুধু তাই নয়, ছাঁটাই করা হলেও কর্মীদের 5 মাসের বেতন হবে বলেও কোম্পানির তরফে প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে।
2023 সালে অ্যামাজনে কর্মী ছাঁটাই সবে শুরু হয়েছে এবং বেশ কয়েক সপ্তাহ এর রেশ থাকবে বলেই মনে করা হচ্ছে। ছাঁটাই-এর কারণ প্রসঙ্গে অ্যামাজনের সিইও গত সপ্তাহেই বলেছিলেন যে অতিমারীর সময়ে সংস্থাটি অতিরিক্ত কর্মী নিয়োগ করেছিল। তাই আগামী দিনে কোম্পানির খরচ বাঁচাতেই কয়েক হাজার কর্মীকে ছাঁটাই করার প্রয়োজন পড়তে পারে। তাঁর মতে, “অনিশ্চিত অর্থনীতির কারণে এই বছরের পর্যালোচনা আরও কঠিন হয়েছে এবং আমরা গত কয়েক বছর ধরে অনেক নিয়োগ করেছি।”
কোম্পানির কোন কোন বিভাগের উপর প্রভাব পড়তে চলেছে সেবিষয়ে কয়েকদিন আগেই জানিয়ে দিয়েছিলেন অ্যান্ডি জেসি। সেক্ষেত্রে অ্যামাজন স্টোর এবং PXT অর্থাৎ পিপল, এক্সপিরিয়েন্স, টেকনোলজি এবং HR টিমের উপর ছাঁটাইয়ের প্রভাব পড়বে বলে তিনি জানিয়েছিলেন। তবে বরখাস্ত কর্মীদের স্বাস্থবীমা, অগ্রিম বেতন সহ একাধিক সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত করা হবে না বলেও কোম্পানির তরফে নিশ্চয়তা দেওয়া হয়েছে।